পেট্রো ডলার কি? কিভাবে এলো এই পেট্রো ডলার – petro dollar in bangla

পেট্রো ডলার হলো ডলারের বিনিময়ে পেট্রোলিয়াম বা তেল এর বিনিময় বা ডলার দিয়ে তেল কিনা

পেট্রো ডলার নাম কে হলো?

পেট্রো ডলার নাম হওয়ার পেছনে একটি মাত্র কারণ তা হলো “ডলার”। সহজ কথা বলতে গেলে পেট্রো ডলার হলো আরব দেশ থেকে যারা তেল কিনবে তারা শুধু মাত্র ডলারের বিনিময়ে তেল কিনতে হবে। এছাড়া অন্য কোনো কারেন্সিতে তেল কিনতে পারবে না।
তাই এর নাম দেওয়া হয়েছে পেট্রো ডলার।

কিভাবে এলো এই পেট্রো ডলার ?

১৯৭০ এর মাঝামাঝি সময়ে যখন আরব বিশ্বে তেল এর দাম বাড়তে থাকে টিক তখনই এই পেট্রো ডলার আসে। এর মাধ্যমে ডলারের দাম বাড়াতে সাহায্য করে। এবং ২০০০ সালের দিকে সমান ভাবে এটি কাজ করে।

পেট্রো ডলার

কারা পেট্রো ডলার গ্রহন করে?

OPEC নামক সংস্থা এই পেট্রো ডলার এর সঙ্গাটি গ্রহন করে। OPEC’s Full meaning is “Organization Of The Petroleum Exporting Countries”
এই সংস্থা টির মোট সদস্য দেশ হলো ১৫ টি, এরা হলো: United Arab Emirates, Saudi Arabia, Qatar, Libya, Nigeria, Iran, IR Iran, Kuwait, Ecuador, Algeria, Angola, Congo, Venezuela, Equatorial Guinea, Gabon.

পেট্রো ডলারের ইতিহাস

পেট্রো ডলার সিস্টেম মূলত Bretton Woods Agreement এর মতো। যার কারণ স্বর্ণের বদলে ডলার চলে আসে। এবং ডলার হয়ে ওঠে ইউএস এর revenue Currency. এই চুক্তি আনুসারে ডলার কে বিশ্বের অন্য সব মুদ্রার সাথে যুক্ত করা হয়। কিন্তু ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট নিক্সন আমেরিকার অর্থনীতির কথা চিন্তা করে সোনার বদলে ডলার দিয়ে তেল কিনতে চুক্তি করেন। এর ফলে সৌদিআরব আমেরিকার সাথে এই চুক্তিবদ্ধ হয় যে, তারা তেল বিক্রি করবে সুধু মাত্র ডলারের বিনময়ে এবং বিশ্বের যে কোনো দেশ হোক না কেন তারা তেল কিনবে ডলার দিয়ে।

পেট্রো ডলারের সুবিধা-অসুবিধা কি?

পেট্রো ডলার চুক্তির ফলে ডলারের দাম বাড়তে আংশিক ভাবে সাহায্য করেছিল। কারণ তেলের চাহিদা যেহেতু বিশ্বব্যাপী তাই ডলারের ব্যবহারও ছিল বিশ্বব্যাপী। এই চুক্তির ফলে ডলারকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী মুদ্রা হিসেবে মানুষের সামনে তুলে ধরা হয় এবং মার্কিন বিশ্ব অর্থনীতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়

যদিও মার্কিন ডলার বিশ্বের অন্যতম রিজাভ কারেন্সি। কিন্তু বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত চাহিদা থাকার কারণে ডলারের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এর ফলে বিশ্বমন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে যার কারণে সবাই ডলারের উপর আস্থা হারাবে। এই জিনিসটাকে “Triffin Dilemma” হিসিবে ব্যাখা করা হয়।

পেট্রো ডলারের কারণে আরবদের কি ক্ষতি হতে পারে?

পেট্রোল ডলার নিয়ে আরবদের ভবিষ্যৎ?

1970 সালে যখন প্রেসিডেন্ট নিক্সন আরবদের সাথে চুক্তি করে তেলের বিনিময়ে ডলার এবং বিশ্বের যে কোন দেশ তেল কিনলে ডলার দিয়ে কিনতে হবে এবং এই চুক্তির মাধ্যমে স্বর্ণের ব্যবহার আর স্বর্ণ দিয়ে তেল কিনা এটা বাতিল হয়ে যায়। এমনকি সৌদি আরবের রিয়াল দিয়েও তেল কিনা বন্ধ হয়ে যায় তারপর রূপা, তামা এইগুলা দিয়েও তেল কেনা বন্ধ হয়ে যায়।

এসেক্সুয়ালিটি কি? এসেক্সুয়াল কি? | What’s Asexuality?

যেহেতু এই কারণে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা ডলার হয়ে ওঠে এবং মার্কিন কারেন্সি রির্জাভ করার ছিল ওইটাও আস্তে আস্তে মন্দার এবং ঘাটতির দিকে চলে আসতে শুরু করছে। পেট্রোল ডলার চুক্তির কারণে আরবদের স্বর্ণের বদলে ডলারের প্রচলন শুরু হয় এবং এই কারণে মার্কিন তাদের বিভিন্ন আইন কে পরিবর্তন করে যেমন তাদের মুদ্রা ছাপাতে কোন ধরনের বাধা-নিষেধ দেয় না। আর যার কারণে তারা কাগজের নোট ছাপাতে শুরু করে এবং আরবদের কাছ থেকে তেল নিতে শুরু করে।

যেহেতু কাগজী মুদ্রা এখানে কোন টাকার মান রাখে না কারণ এই কাগজের মাঝে টাকার মান নির্ধারণ হয় না কিন্তু কাগজি টাকার মধ্যে কাগজি টাকার মান নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না এইটা নিয়ন্ত্রণ করে আমেরিকা। কাগজি মুদ্রার প্রচলন করে তারা পৃথিবীর মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে আর আরবদের তেল নিয়ে যাচ্ছে কাগজের মুদ্রার মাধ্যমে।

ধারণা করা হচ্ছে 2025 সালের মধ্যে ডলারের মান কমে যাবে এমনকি ডলার মুদ্রাটি তুলে নিতে পারে আমেরিকা যার কারণে যারা মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ করে রাখছে তাদের কোন কাজে আসবে না এগুলা।

রহস্য এখানেই। যখন আমেরিকার অর্থনীতি অন্য দেশ গুলো থেকে পিছিয়ে পড়বে তখন সে বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের মুদ্রা হয়তো চেঞ্জ করে ফেলবে। আর এমনিতেই বিশ্ব ব্যাংকের মাধ্যমে আমেরিকা কাগজের ডলারের যে কোনো পরিবর্তন করতে সক্ষম।

Leave a Comment